নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওয়েবসাইট এর যাত্রা শুরু

আমরা যারা এই মহাবিশ্বের এক কোনায় বসে বাংলায় ভালোবাসি, বাংলায় কাঁদি হাসি, তাঁদের সবাইকে বাংলা নববর্ষের প্রভাতে আমার আন্তরিক স্নেহ, শুভেচ্ছা, সেলাম ও প্রণাম জানিয়ে এক নতুন পথে আমার যাত্রা শুরু করছি।

মাকড়শা যেমন নিজের দেহ নির্গত রসে সুতো তৈরী করে জাল রচনা করে, অনেকটা তেমনি আমার মস্তক প্রসূতি গদ্য, পদ্য, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, নাটকের সূত্র দিয়ে এক ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছি।

আমার নাম চন্দনা সেনগুপ্ত, বয়স ৭১ বছর, ডাক নাম মুকুল। তাই আমার ওয়েবসাইটটির নাম হয়েছে মুকুলিকা ডট নেট। সেইজন্য স্বরচিত সাহিত্য জালে আপনাদের কিছুক্ষনের জন্য বন্দি করতে চাই। এগুলি পড়ে কারো যদি ভালো লাগে, কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের অজ পাড়াগাঁয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গৃহবধূ যদি এর কোনো গল্প কবিতায় একাত্ম হয়ে বলেন – “আরে এটাই তো আমার মনের কথা, এটাই তো আমি বলতে চেয়েছি সারাজীবন ধরে, তাহলেই আমার লেখা স্বার্থক হবে।

সুদূর আমেরিকায় বসে কোনো হোম সিক যুবক-যুবতী, প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার চোখে যদি দু ফোঁটা জল আসে তার মা বাবার কথা ভেবে তবে ভাববো, হ্যাঁ কিছু লিখতে পেরেছি আজ।

বিভিন্ন শহরে নগরে আবেগপ্রবণ পশ্চিমবঙ্গে বা শ্যামল সবুজ আন্তরিকতায় ভরা বাংলাদেশের বাচ্চারা তাদের মনের মতন নাটক, গল্প, কবিতা পড়তে গিয়ে বেশ উত্তেজিত হয়, খলখলিয়ে হাসে বা অপরকে ভালোবাসতে শেখে। এই সুন্দর জগতে তারা আনন্দ ও আশার আলো দেখতে পায় তাহলেই আমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে।

আজ প্রথমেই আমি প্রণাম জানাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে। যাঁর প্রথমভাগের অ, আ, ক, খ এবং দ্বিতীয় ভাগের ঐক্য, বাক্য, মাণিক্য আমায় বাংলা ভাষা লিখতে পড়তে শিখিয়েছে। তারপর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও মাইকেল মধুসুধন দত্তকে যাঁরা বাংলা সাহিত্য পড়তে আমায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, নজরুল, সত্যেন্দ্রনাথ আরও শত শত বাংলার কবি ও লেখককে, যাঁরা আমার নিজস্ব ভাবকে সহজভাবে ব্যক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। একটু বয়সকালে বিবেকানন্দের প্রবন্ধ, চিঠিপত্র ও সখার প্রতি কবিতা বিশেষ করে  শেষ দুটি লাইন “বহুমুখে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” এই মূল্যবোধকে বিকশিত করে আমার ভক্তি গীতিগুলি লিখতে সাহস জুগিয়েছে। আর সর্বোপরি যাঁর জীবন ও সমগ্র সাহিত্য চর্চা সেই ৭ বছর বয়স থেকে এই ৭০ বছর পর্যন্ত আমাকে নিত্য নতুন ছন্দে, গন্ধে, রূপে, রসে “প্রাণের আনন্দ ও আত্মার আরাম দিয়ে কলমের ডগায় শব্দ এনে দিতে সাহায্য করে আমাকে লেখার তাগিদে চালনা করেছেন সেই গুরদেব রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে মাথা নত করে যাত্রা শুরু করছি। শেষে যিনি মাত্র একটা গ্রন্থ লিখে আমার সমস্ত সত্তাকে ভক্তি রসে আপ্লুত করেছেন, সেই কথামৃত গ্রন্থের মাস্টারমশায় মহেন্দ্রনাথ গুপ্তকে প্রণাম জানায়।

আমায় অনুপ্রেরণা ও কৃপাদানে যাঁরা দিনরাত সিক্ত করে চলেছেন সেই শ্রী শ্রী মা ও ঠাকুর রামকৃষ্ণকে স্মরণ মনন নিদিধ্যান করে শরণাগত পথচলা শুরু করেছি। ঠাকুরের ও শ্রী শ্রী মায়ের বাণী নানাভাবে ব্যক্ত করতে চেষ্টা করেছি, সেগুলি পড়ে কারো মনে যদি সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভাব জাগে তাহলেই আমার লেখনী জীবন্ত হয়ে উঠবে। শব্দ পুষ্প দিয়ে আমি আমার সেই পাঠক ভক্তকে শ্রদ্ধা জানাব।

নমস্কার

সূচিপত্র

১. হোম

২. কবিতা সামগ্রী

৩. গল্প সামগ্রী

৪. খোলা চিঠি

৫. ফিডব্যাক ফর্ম

৬. পাঠকদের ফিডব্যাক